নিউজ ডেস্ক:
রোববার (১৮ মে) এক রাজনৈতিক ফান্ডরেইজিং ইভেন্টে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে কখনো চাল কিনতে হয়নি, সমর্থকদের উপহারেই চালের সংস্থান হয়’—এ কথা জানাজানি হওয়া মাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এই অসতর্ক মন্তব্যকে চালের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অসংবেদনশীল বলে মনে করা হয় এবং জুলাই মাসের জাতীয় নির্বাচনের আগে ইশিবা ইতিমধ্যেই দুর্বল সংখ্যালঘু সরকারের জন্য এটি আরও সমস্যা তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি জাপানের প্রধান খাদ্যশস্য চালের দাম অনেক বেড়েছে। এমন পরিস্থিতির মাঝে চাল নিয়ে মন্তব্য করে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েছেন জাপানের কৃষিমন্ত্রী তাকু ইটোকে। দেশটির চালের দাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য এরপর বাধ্য হয়ে স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ মে) ক্ষমা চাইতে হয়েছে তাকে। এ ঘটনার দু’দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে এতো বলেন, ‘চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের যখন সংগ্রাম করতে হচ্ছে, তখন আমি একটি অত্যন্ত অসঙ্গত মন্তব্য করেছি। তাই প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।’
এতো আরও বলেন, ‘আমি মনে করি সরকার যখন চালের মূল্য নিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, তখন আমার এই পদে থাকা ঠিক হবে না।’
এই পদত্যাগের মাধ্যমে জাপানের রাজনৈতিক অস্থিরতা আবারও প্রকাশ পেয়েছে, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ইশিবার সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, জাপানে চালের দাম বৃদ্ধি একটি বড় অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে