‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের নামে ট্রল আদালত অবমাননার শামিল’

0
22

ডেইলি টাইমস বাংলাদেশ ডেস্কঃ

মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে নিয়ে সামাজিক যোগোযাগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে হেয় বা ট্রল করা হলে সেটি হবে আদালত অবমানার শামিল। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তান ও প্রজন্ম এ ধরনের ট্রল কখনও মেনে নেবে না। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল’–এর সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষার এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন- উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুর্নবহাল হয়েছে। বিষয়টি এখনও আদালতে বিচারাধীন। আদালতেই এর চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে। 

কোটা প্রথা কখনই বৈষম্যময় নয়। একটি প্রচলিত ভুল ধারণা আছে, কোটা প্রথায় যারা চাকরি নেয় তাদের কোনো প্রকার মেধা যাচাই ছাড়া চাকরি দেওয়া হয়, এই ধারণাটি ভুল। কোটায় যারা চাকরি নেন তাদেরও অন্য সব চাকরির প্রার্থীর মত মেধা যাচাই করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হওয়ার আগে অন্য সবার সঙ্গে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করার পরেই মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ সম্পন্ন করা হত। এখনও দেশে–বিদেশে বিভিন্ন ধরনের কোটা ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মের জন্য এখন শুধু চতুর্থ শ্রেণির চাকরির কোটা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এজন্য বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। আদালত ন্যায়ের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আশা করছি আপিল বিভাগেও এই রায় বহাল থাকবে।

সংগঠনটি ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, অপ্রচার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। এতে আরও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন শিকদার।

বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন শিকদার বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা অসাংবিধানিক নয়। এ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারদের নিয়ে কোনো ধরনের ট্রল না করার জন্যেও উদাত্ত আহবান জানানো হয়।